প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এখন সবারই জানা। বছরের পর বছর অযোগ্য প্রার্থীদের কেবলমাত্র টাকার বিনিময়ে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের চাকরি। বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্যরা। বর্তমানে টেট দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে কেস চলছে।
সম্প্রতি আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, প্রাইমারি টেট পরীক্ষার সমস্ত OMR শীট প্রকাশ করতে হবে। এর ফলে যারা যোগ্য, অথচ চাকরি পান নি, তারা কত নম্বর পেয়ে পরীক্ষা পাশ করছেন তা যেমন জানা যাবে, তেমনই, নিয়োগ পাওয়া সকল প্রার্থী আদৌ পরীক্ষাতে পাশ করেছিলেন কিনা, তাও জানা যাবে।
তবে আদালতের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অর্থাৎ WBBPE আদালতকে জানায়, যে, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র রাখার পরিবর্তে সেগুলি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তাই, পর্ষদের তরফে কোনো উত্তরপত্র আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়।
এদিকে গত মঙ্গলবার সিবিআই তাদের তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করে। সেখানে সিবিআই স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট পোড়ানো হয়নি। তবে, উত্তরপত্র নষ্ট করার জন্য ওডিশার বালাসোরে একটি পেপার মিলের কাছে কেজি দরে বিক্রি করেছিল পর্ষদ। সিবিআই আরও জানায় যে, 2018 সালে 200 কুইন্টালেরও বেশি ওএমআর শীট নষ্ট করা হয়েছিল। ওই উত্তরপত্র থেকে ফের নতুন কাগজ তৈরি করা হয়েছিল।
এছাড়াও, টেট নিয়ে আদালতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, টেট পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দায়িত্ব দিয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে, যা আসলে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম।
ওই সংস্থাটি 2022 সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত ছিল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম হিসাবে । পরবর্তীতে ওই সংস্থার কার্যকরী ক্ষেত্র হিসেবে অনেক নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়। এবং সেই সংস্থার মাধ্যমেই পর্ষদ ওএমআর শীট প্রস্তুত করে এবং পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, ওই সংস্থাকে সামনে রেখেই প্রাথমিকের দুর্নীতি করা হয়েছে। পর্ষদের কর্মচারীদের সিংহভাগই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। রীতিমতো চক্রান্ত করে এই উত্তরপত্র নষ্ট করে ফেলার প্ল্যান করা হয়েছিল, যাতে কেউ সনাক্ত করতে না পারে কোন ওএমার শীট কোন ব্যক্তির। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে সিবিআইও দাবি করেছে যে পরীক্ষার নথিগুলি বেআইনিভাবে নষ্ট করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সিবিআই তদন্তে মাহিদুল আনসারি, জাফিকুল ইসলাম, সজল কর, দেবরাজ চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং সৌরভ ঘোষের নাম উঠে এসেছে। এরা সকলেই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন। সিবিআইয়ের তরফে এই সব অভিযুক্তদের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
👉 রাজ্যে ২৩ টি জেলায় ১০০০ শূন্যপদে নতুন কর্মী নিয়োগের আপডেট
👉 স্টেনোগ্রাফার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ, লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ
👉 সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ, ১২ জানুয়ারি অবধি আবেদন চলবে
👉 অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার পদে নিয়োগ, ২৭ হাজার টাকা মাসিক বেতন
👉 গ্রাম পঞ্চায়েত সেক্রেটারি পদে চাকরি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন