1/10: Pohela Boishakh for Bangalee- আজ পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ আজ থেকে বৈশাখের শুরু। বাঙালিদের কাছে এ এক উৎসবের দিন। ভালো খাওয়া, নতুন জামাকাপড় পরার এক ঐতিহ্য প্রায় সমস্ত বাঙালি বাড়িতেই দেখা যায়। সাদরে বৈশাখকে বরণ করার রীতি বাঙালিদের মধ্যে দারুণভাবে প্রচলিত। কিন্তু ঠিক কবে থেকে পহেলা বৈশাখ দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে, তাই নিয়ে নানান মতবিরোধ রয়েছে।
2/10: ছোটবেলায় বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য মা-ঠাকুমাদের একটা বেশ জনপ্রিয় গান ছিল, “খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে ‘খাজনা’ দেবো কিসে ?” এই খাজনা দেওয়ার সময় থেকেই বাংলার প্রথম সাল গণনা করার প্রয়োজন শুরু হয় বলে অনেকে মনে করেন। কোনো লিখিত দিনক্ষণের হিসেব না থাকায় খাজনা আদায়ের হিসাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিত।
3/10: তৎকালে চৈত্র মাসের শেষ দিনটিকে খাজনা আদায় করার দিন বলে ধরা হতো এবং বছরের প্রথম দিনে নতুন হালখাতা তৈরি করতে নতুন ভাবে খাজনা আদায়ের হিসেব নিকেশ লিপিবদ্ধ করে রাখা হতো।
4/10: সাধারণত ধারণা করা হয়, বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রচলন ঘটান গৌড়ের অধিশ্বর শশাঙ্ক, সপ্তম শতাব্দীতে। শশাঙ্কের সেই ক্যালেন্ডারে পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবর সংশোধন আনেন কর বা রাজস্ব আদায়ের হিসেব রাখার কারণে। হয়ত তখন থেকেই এই পহেলা বৈশাখ দিনটি উদযাপিত হয়ে চলেছে।
5/10: আবার অনেক ঐতিহাসিকরা মনে করেন ১লা বৈশাখ দিনটি হিন্দু নববর্ষ উৎসবের সাথে সম্পর্কিত। এই কারণেই হয়ত এই দিনটিকে বৈশাখী নামেও ডেকে থাকেন বাঙালিরা।
6/10: বাংলায় ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশে পালন করা হয়।এখানকার বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ দিনটি আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে পালন করেন। তবে কেবল বাঙালিরাই নয়, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পহেলা বৈশাখের দিনে নানান রকম উৎসব পালন করা হয়।
7/10: বৈশাখ মাসের এক তারিখটিকে বাংলার উৎসব সৌর বছরের প্রথম দিন বা সূচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, যেমন – আসাম , মনিপুর ,কেরল ,উড়িষ্যা, নেপাল ,পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুতেও বিভিন্ন নামে এই দিনটি পাল করা হয়ে থাকে।
8/10: যদিও যথাযথভাবে প্রথমবার আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের প্রমাণ মেলে ১৯১৭ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনার আগে ভারতীয় তথা বাঙালিদের তরফে ব্রিটিশদের বিজয় কামনার্থে পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়।
9/10: বর্তমানে বেশ উৎসবের মেজাজেই পালিত হয় পহেলা বৈশাখ দিনটি। এই দিন দোকানের খদ্দেরদের মিষ্টি এবং নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। চলে দেদার মাছ-মাংস-মিষ্টি খাওয়ার পালা।
10/10: গায়ে তোলা হয় নতুন জামা। এই দিন দুই বাংলাতেই দেওয়া হয় সরকারি ছুটি। খাওয়াদাওয়া হাসি মজাতে বেশ সুন্দর করেই কেটে যায় বাংলা বছরের প্রথম দিনটি। দিনটিকে আরও পূর্ণ করে তোলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো..”। আমাদের পাঠকদেরও জন্যেও আজ পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা রইল।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট: Click Here