শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষায় কারচুপি ও দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল হয়ে আছে বাংলা। প্রায় রোজই আদালতে এই সংক্রান্ত কোনও না কোনও মামলায় মুখ পুড়ছে সরকারের। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ উচ্চপদস্থ শিক্ষা কর্তারা। এই অবস্থায় প্যারা টিচার্সদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে চলা আন্দোলন যেন কিছুটা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। তবে সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকায় তাঁদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্যারা টিচাররা সবচেয়ে অবহেলিত
বিগত বাম জমানায় প্রথম রাজ্যের স্কুলগুলোতে প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তাঁদের সংখ্যা তৃণমূল আমলে অনেকটাই বেড়ে যায়। কথা ছিল এই প্যারা টিচার্সদের নির্দিষ্ট কিছু ক্লাস নিতে হবে। তাঁদের পরীক্ষার খাতা দেখতে হবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে এই পার্শ্ব শিক্ষকদের কাজের বোঝা বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে সমস্ত ক্লাস নেওয়ার পর পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, খাতা দেখা এমনকি স্কুলের প্রশাসনিক কাজও করতে হয় তাঁদের।
পশ্চিমবঙ্গে প্যারা টিচারদের মাসিক বেতন
নানান সময়ে অভিযোগ উঠেছে, পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরা নিজেরা কম ক্লাস নিয়ে প্যারা টিচার্সদের সেই ক্লাসগুলো নিতে পাঠান! সব মিলিয়ে একজন প্যারা টিচারের সঙ্গে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের কাজের খুব একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকরা বেতন পান মাসে ১০,৫০০ টাকা মাত্র।
অপরদিকে হাইস্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন ১৩,০০০ টাকা। এই প্যারা টিচার্সদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু বেশিরভাগকেই মাধ্যমিক তো বটেই, এমনকি একাদ্বশ-দ্বাদশের ক্লাস নিতে হয়। এদিকে এই সমপরিমাণ দায়িত্ব পালন করে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরা ৫০ হাজার থেকে প্রায় লক্ষ টাকা বেতন পান। সেইসঙ্গে অবসরের পর পেনশনও আছে। কিন্তু পার্শ্ব শিক্ষকদের এসব কোনও সুবিধার বালাই নেই।
প্যারা টিচারদের বেতন বৃদ্ধির জল্পনা
1/4: দীর্ঘদিন ধরে প্যারা টিচাররা সম কাজে সম বেতনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০২০ সালে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে তাঁরা এই দাবিতে লাগাতার আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। তবে মারণ ভাইরাস কোভিড এসে সেই আন্দোলনের গতির রুদ্ধ করে দেয়। তবে সম্প্রতিকালে আবারও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামা শুরু করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা।
2/4: বাংলার প্রাথমিক ও হাইস্কুলগুলোর প্যারা টিচারদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েও সবটা রক্ষা করেনি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমানে জেল জীবন কাটানো পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্যারা টিচার্সদের বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলেন। যদিও তা এখনও পর্যন্ত বাস্তবের আলো দেখেনি। এমনকি ক্ষমতায় আসার আগে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্যারা টিচারদের একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির বেশ কিছুটা তৃণমূল সরকার রেখেছে। কিন্তু সবটা এখনও পূরণ হয়নি।
3/4: এই অবস্থায় শাসকদলের বিধায়ক তথা বিখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। জানান অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও বাংলার প্যারা টিচাররা পর্যাপ্ত সম্মান ও বেতন পাচ্ছেন না। সিনেমার জুনিয়র আর্টিস্টদের মতো তারা পিছনের সারিতেই থেকে যাচ্ছেন।
4/4: ঘটনা হল, অন্যান্য রাজ্যে প্যারা টিচার্সদের বেতন আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। এই অবস্থায় অনেকেই ভেবেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকার পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে পারে। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। ফলে প্যারা টিচাররা যে তিমীরে ছিলেন সেখানেই থেকে যেতে হচ্ছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 নতুন বছরের আগেই প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউ
🎯 থমকে গেলো স্কুলের শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া