ব্যাংক CSP খোলার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া, নতুন বছরে শুরু করে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম | CSP Opening Process in Bengali

WhatsApp Group Join Now

CSP Opening Process in Bengali: আপনি আপনার বাড়ির কাছাকাছি কোনো কোনো না জায়গায় অবশ্যই কোন ব্যাংকের CSP দেখেছেন। মূলত সেগুলি এসবিআই (SBI), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এর বেশি হয়ে থাকে। এই ব্যাংকগুলি ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ব্যাংকের CSP হয় এবং সেখানে টাকা লেনদেনসহ ব্যাংকের মতোই যাবতীয় কাজকর্ম হয়ে থাকে। 

আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব কিভাবে সিএসপি (CSP) নেওয়া যাবে, সিএসপি খুলতে কত টাকা খরচ হবে, সিএসপি খুলে কিভাবে টাকা ইনকাম হবে ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনিও যদি নতুন বছরে সিএসপি খুলে রোজগার করতে চান তাহলে এর A to Z সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জেনে নিন। 

CSP এর সম্পূর্ণ নাম (CSP Full Form in Bengali)

CSP এর সম্পূর্ণ নাম বা Full Form হচ্ছে- ‘Customer Service Point’ যার বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় ‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’। 

CSP কি? (What is CSP in Bengali) 

CSP কে আমরা মিনি ব্যাংক বলতে পারি। এখানে কোন অথরাইজ ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ যেমন টাকা জমা, টাকা তোলা, ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা, পাসবুক আপডেট পাসবুক, পাসবুক প্রিন্ট, চেক জমা ইত্যাদির মত কাজ হয়ে থাকে। 

এক কথায় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে যে সমস্ত কাজগুলি করা হয় সেগুলির প্রায় সবই সিএসপি (CSP)-তে হয়ে থাকে। এতে করে মেন ব্রাঞ্চ গুলির কাজের চাপ অনেকটা কম হয়। 

CSP নেওয়ার জন্য বয়স সীমা (CSP age Limit)

কমপক্ষে ২১ একুশ বছর বয়স হলে তবেই নির্দিষ্ট কোন ব্যাংকের সিএসপি নেওয়ার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। 

CSP নেওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (CSP Educational Qualification)

CSP নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পাস (HS Pass) হতে হয় এবং কম্পিউটার চালানো জানতে হয়। 

CSP তে আবেদনের জন্য দরকারি ডকুমেন্টস (Documents for CSP Application)

  • ভোটার কার্ড (Voter Card)
  • প্যান কার্ড (Pan Card)
  • আধার কার্ড (Aadhar Card)
  • ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস (Bank Ac Details)
  • জায়গার কাগজপত্র (দলিল) 
  • ভাড়ার ঘর হলে রশিদ।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট

CSP খোলার জন্য দরকারি জিনিসপত্র

  • 200 থেকে 250 বর্গফুটের স্থায়ী ঘর (ভাড়ার ঘর অথবা নিজের ঘর হলেই হবে)
  • কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • প্রিন্টার
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার
  • পাসবুক প্রিন্টার

CSP থেকে ইনকাম (Income from CSP)

সিএসপি থেকে মূলত কমিশনের ভিত্তিতে ইনকাম হয়। সরকারি চাকরির মত মাসিক বেতনের সিস্টেম এখানে নেই। এটা অনেকের কাছে খারাপ দিক মনে হতে পারে। কিন্তু যদি ঠিকঠাক কাজ হয় তাহলে চাকরি মতোই বা তার থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

সোজা কথায় সিএসপি এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট ব্যাংকের হয়ে যত বেশি পরিমাণ কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ব্যাংকের কাজ মূলত টাকা লেনদেন অর্থাৎ টাকা জমা টাকা তোলা। এছাড়া ব্যালেন্স চেক, নতুন একাউন্ট বানিয়ে দেওয়া, ব্যাংকে FD অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিট করা ইত্যাদি। 

এবার আসি কমিশনের মাধ্যমে ইনকামের বিষয়ে-

  • সিএসপিতে টাকা তোলা এবং  টাকা জমা করার ক্ষেত্রে 0.04 থেকে 0.06% হারে কমিশন পাওয়া যায়। 
  • আপনি যদি সারা দিনে সিএসপিতে ১ লক্ষ টাকার লেনদেন করেন তাহলে মোটামুটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম হবে।
  • অন্যদিকে আপনি যদি সারা দিনে সিএসপিতে ২ লক্ষ টাকার লেনদেন করেন তাহলে মোটামুটি ১০০০ টাকা ইনকাম হবে।
  • এক কথায় যত বেশি টাকার লেনদেন হবে তত বেশি ইনকাম। আপনি আপনার মত হিসাব করতে পারেন কত টাকা লেনদেন হলে কত টাকা ইনকাম সম্ভব। 
  • এই গেল টাকা লেনদেনের ভিত্তিতে ইনকাম। এছাড়া নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ইন্সুরেন্স পলিসি, ফিক্সড ডিপোজিট (FD), চেক ডিপোজিট, ব্যাঙ্ক পাস বুক আপডেট ইত্যাদির কাজের জন্য ব্যাংক থেকে আলাদা করে কমিশন পাওয়া যায়। 

CSP খোলার জন্য খরচ (CSP Opening Cost)

CSP খুলতে হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশনের খরচ মোটামুটি 5,000 থেকে 7,000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

এছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, পাসবুক প্রিন্টার, ইন্টারনেট সেটাপ ইত্যাদির জন্য এককালীন টাকা খরচ করতে হয়। এই জিনিসপত্র গুলির খরচ হিসাব সাপেক্ষ। 

CSP কিভাবে পাওয়া যায়? (How to Get CSP in Bengali)

আমরা কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে সরাসরি ওই ব্যাংকের সিএসপি পাবো না। সিএসপি নেওয়ার জন্য কোন একটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এই নিয়মেই আমাদের দেশে CSP প্রদান করা হয়ে থাকে। সিএসপি নেওয়ার জন্য অবশ্যই জানতে হবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের সিএসপি কোন কোম্পানি প্রদান করে থাকে। 

আমরা বেশিরভাগ লোকই জানিনা কোন ব্যাংকের সিএসপি কোন কোম্পানি দিয়ে থাকে। তা জানার সহজতম উপায় হল, কোনো ব্যাংকে গিয়ে সেই ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে সিএসপি প্রোভাইডার কোম্পানির সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তারপর সেই কোম্পানির কাছে সিএসপি এর জন্য আবেদন করতে হবে। 

WhatsApp Group Join Now

CSP-এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া (CSP Application Process in Bengali)

(1) CSP নেওয়ার জন্য অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন করা যায়। আমরা আপনাকে সাজেস্ট করব অফলাইনের মাধ্যমে সিএসপি নিতে। কেননা অনলাইনে অনেক সময় প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অফলাইনে আবেদন করলে সম্পূর্ণ প্রসেসটি আপনি যাচাই করতে পারবেন। 

(2) তাই আজকে আমরা শুধুমাত্র অফলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাবো। অনলাইন প্রক্রিয়া জানতে চাইলে আপনি ইউটিউবে বা গুগলে গিয়ে সার্চ করে জানতে পারবেন। 

(3) আপনি যে ব্যাংকের সিএসপি নিতে চান সেটি স্টেট ব্যাংক হতে পারে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক হতে পারে বা অন্য কোন ব্যাংক হতে পারে। সেই নির্দিষ্ট ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলুন। আপনি আপনার বাড়ির কাছাকাছি ব্রাঞ্চে যেতে পারেন বা সেই ব্যাংকের মেইন ব্রাঞ্চ অফিসে ও যোগাযোগ করতে পারেন। 

(4) ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে সিএসপি নেওয়ার কারণ জানান। ম্যানেজারকে আপনাকে বোঝাতে হবে সিএসপি নিলে তাদের কাজে আপনি কিভাবে সাহায্য করবেন, তাদের কাজের চাপ কতটা কমবে ইত্যাদি সম্পর্কে। সর্বোপরি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা ভালো করতে হবে তাহলে খুব সহজেই আপনি CSP এর জন্য এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। 

(5) ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই জানতে হবে সেই ব্যাংকের সিএসপি ঠিক কোন কোম্পানি দিয়ে থাকে। সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনি সিএসপি নেওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। 

(6) আপনার হয়তো মনে হতে পারে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন ব্যাপার, কিন্তু তা না। আপনাকে শুধু কোম্পানির নাম জানতে হবে তারপর অনলাইনের মাধ্যমে সেই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার ডিটেলস অর্থাৎ মোবাইল নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। তাতে করেই আপনি তাদের সঙ্গে CSP নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন। 

সিএসপি প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থা (CSP Provider Companies)

  • Reliance Payment Solution Limited
  • AISECT Limited
  • Alankit Limited 
  • Easy Bill Private Limited
  • CSE e Governance
  • Unique Social Equality
  • Pay Point India Pvt. Ltd.

CSP প্রদানকারী কোম্পানির নাম জানার সহজ উপায়

খুব সহজেই যদি আপনি কোন ব্যাংকের সিএসপি প্রদানকারী কোম্পানির নাম জানতে চান তাহলে এই কাজটি করতে হবে। ধরুন আপনি স্টেট ব্যাংকের সিএসপি (State Bank of CSP) নিতে চান তাহলে আপনাকে আপনার বাড়ি থেকে দূরে থাকা কোনো সিএসপিতে গিয়ে ওই সিএসপির কর্তার সাথে কথা বলতে হবে।

সে কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সিএসপি নিয়েছিল তা জেনে নিতে হবে। সে যদি এই সম্পর্কিত কোন তথ্য না দিতে চাই তাতেও কোন সমস্যা নেই। আপনাকে সেই সিএসপির ঘরের কোন এক দেওয়ালে টাঙানো নির্দিষ্ট কোম্পানির সার্টিফিকেট টির ছবি তুলে বা সার্টিফিকেটে থাকা কোম্পানির নাম কি তা দেখে নিতে হবে। 

বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট (Job Update) মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এই মেসেজটি প্লিজ Ignore করুন। 

কাজকর্ম Whatsapp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here

✅ Telegram Channel: Click Here

🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট 👇👇

🎯 সেরা 5 টি কম্পিউটার কোর্স (চাকরির জন্য) 

🎯 ED কিভাবে হওয়া যায়?

🎯 রেলের লোকো পাইলট কিভাবে হওয়া যায়? 

🎯 হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স করে চাকরির দারুন সুযোগ

Previous articleরাজ্যে প্যারা টিচারদের বেতন কত? পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেতন কি বাড়ছে!
Next articleBusiness in Village: গ্রামীণ এলাকায় এই ব্যবসা করে ভালো ইনকামের সুযোগ, অর্ধেক টাকা দেবে সরকার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here