সরকারি চাকুরিজীবিদের শান্তির দিন ফুরোল। আমাদের অনেকের ধারণা, একটা কোনও সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়া মানে বাকি জীবনের চিন্তা কমে অর্ধেকে হয়ে গেল। মাস পয়লা বেতন ধরা বাঁধা। খেয়ালখুশি মতো ছুটি করলেও সমস্যা হবে না। সকাল ১০ টার বদলে ১১ টা বা ১২ টায় অফিস ঢুকলেও হাজিরার খাতায় লাল দাগ পড়বে না, দরকারে ছুটির আগেই বেরিয়ে আসা যাবে। হেলতেদুলতে কাজ করলেও প্রমোশন ঠিক পাওয়া যাবে! এই ধারণার দিন এবার নিশ্চিতভাবেই ফুরোল সরকারি কর্মচারীদের।
কেন্দ্রের হোক বা রাজ্য, সরকারি চাকুরিজীবী মানেই দেদার আয়েশ, এই ধারণা ঠিক আবার ঠিকও নয়। একসময় সত্যিই সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে এটাই ছিল বাস্তব অবস্থা। তবে অনেকদিন হল এতোটা আয়েশ আর নেই। বহু সরকারি দফতরের কর্মীদের পদোন্নতি (Promotion) পারফরম্যান্স নির্ভর হয়ে গিয়েছে। তবে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কাজ হারানোর ভয়টা সেভাবে ছিল না। কিন্তু ২০২৩ এর শুরু থেকেই কর্পোরেট সেক্টরের মতো সরকারি চাকরিতেও পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেই চাকরি যাবে!
দেশের শ্রমনীতি পুরো ঢেলে সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে বিতর্কও আছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, এই নতুন শ্রমনীতির কারণে বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থায়ী চাকরি বলে আর কিছু থাকবে না। তাতেই সরকারি চাকরি নিয়ে একগুচ্ছ বদল আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই শ্রমনীতি মেনেও নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশিরভাগ রাজ্য। ২০২৩ এর ১ জানুয়ারি থেকে এই শ্রমনীতি লাগু হবে।
কী আছে নতুন শ্রমনীতিতে?
নতুন শ্রমনীতি বা লেবার কোড অনুযায়ী, সরকারি কর্মীরা যদি নিয়ম মেনে না চলেন, পারফরম্যান্স করতে না পারেন, হাজিরা যদি ঠিকঠাক না থাকে, যদি দুর্নীতি বা স্বজনপোনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তবে বিনা ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এর বাইরে কোনও সরকারি কর্মী হয়তো অপরাধ করলেন না, কিন্তু মন দিয়ে কাজটাও করছেন না, সেক্ষেত্রে তাঁকে স্বেচ্ছাবসরে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
এই স্বেচ্ছাবসরের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী যত বছরের চাকরি বাকি থাকবে, তত বছরের দু’মাসের বেতন হিসেব করে দেওয়া হবে। কিন্তু কোনও কর্মীকে যদি শাস্তিমূলক স্বেচ্ছাবসরে পাঠানো হয় তবে তাঁকে বিন্দুমাত্র ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এছাড়াও নতুন শ্রমনীতিতে তিন মাসের বেতন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ধরিয়ে যেকোনও কর্মীকে যেকোনও সময়ে ছাঁটাইয়ের বিধান রাখা হয়েছে। যার ফলে সরকারি চাকরির সুখ এবার ঘুচল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে সরকারি চাকুরির এবার বেসরকারি ক্ষেত্রের মতো অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ ও পারফর্ম্যান্স ভিত্তিক হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলে ইতিমধ্যেই নতুন শ্রমনীতি প্রয়োগ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর জেরে গত দেড় বছরে ১৩৯ জন উচ্চপদস্থ রেলকর্তার চাকরি গিয়েছে বা তাঁদের স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই তালিকায় যেমন দুর্নীতিতে জড়িত আধিকারিক আছেন, তেমনই প্রতিযোগিতায় তার মিলিয়ে চলতে না পারা বয়স্ক রেলকর্তারাও আছেন। তাই সরকারি কর্মচারীরাও সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 পশ্চিমবঙ্গের ১৭১৯ টি স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ
🎯 বস্ত্রবয়ন দপ্তরে গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ ২০২২
🎯 প্রাইমারি টেট পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত পর্ষদের