সত্যিই টেট পাশ করেছেন মমতা ব্যানার্জি, দিলীপ ঘোষরা? জানুন আসল সত্যিটা

Mamata Banerjee, Dilip Ghosh really passed the TET

1/6: টেট পাশ করা মমতা ব্যানার্জি বা টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরির অপেক্ষায় থাকা দিলীপ ঘোষের অবশেষে খোঁজ মিলল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষিত টেট উত্তীর্ণের তালিকায় থাকা এই নামগুলো ভুয়ো নয়, তাঁদের বাস্তবিক অস্তিত্ব আছে বলে জানাল পর্ষদ

2/6: এই যেমন হাবরার এক ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্টের নাম সুজন চক্রবর্তী। যিনি ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিলেন, ইন্টারভিউয়েও বসেছিলেন। কিন্তু চাকরি পাননি। তাঁর নামই ছিল পর্ষদের প্রকাশ করা নম্বর তালিকায়। এই ব্যক্তির সঙ্গে সিপিএম নেতা সুজনের কোন‌ও সম্পর্ক নেই

Mamata Banerjee, Dilip Ghosh really passed the TET

3/6: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে ২০১৭র টেট উত্তীর্ণ ৯৮৯৬ জন চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণ প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নম্বরের তালিকা প্রকাশ নিয়ে রীতিমতো টালবাহানা চলতে থাকে। পরে কলকাতা হাইকোর্ট জোর ধমক দিলে শেষ পর্যন্ত ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বর তালিকা ঘোষণা করে পর্ষদ। তাতেই দেখা যায় মমতা ব্যানার্জি, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহ-এর মতো রাজনৈতিক নেতাদের নাম আছে টেট উত্তীর্ণদের তালিকায়!

4/6: এই নিয়ে জোর জল্পনা ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ট্রোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাকরিপ্রার্থীদেরও একাংশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তোলে। এমনিতেও পর্ষদের প্রকাশ করার তালিকা অসম্পূর্ণ ছিল। অনেক জায়গায় রোল নাম্বার ছিল তো চাকরিপ্রার্থীর নাম নেই। আবার ৮২ নম্বর পেয়ে পাশ করা সংরক্ষিত তালিকার চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে কারোরই নাম লেখা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নামজাদা রাজনীতিবিদদের নাম টেট উত্তীর্ণের তালিকায় দেখে সংশয় আরও বাড়ে।

5/6: সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিষয়টি সাইবার হানা হতে পারে। তাদের সিস্টেম হ্যাক করে ইচ্ছাকৃতভাবে এই রাজনীতিবিদদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে থাকতে পারে হ্যাকাররা। তবে তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই পর্ষদ সাংবাদিক বৈঠক করে জানায় না, কোনরকম সাইবার হানা হয়নি।

6/6: সত্যিই মমতা ব্যানার্জি, সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহ’রা টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে এরা কোন‌ও রাজনৈতিক নেতা নন, এঁরা সকলেই সাধারন নাগরিক। সংশয় দূর করতে এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বাড়ির ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর পর্ষদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে রাজনৈতিক নেতাদের তালিকায় নাম থাকা নিয়ে সংশয় কাটলেও আদৌ কবে শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং স্বচ্ছভাবে হবে কিনা তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মনে বড় প্রশ্ন থেকে গিয়েছে।

বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন। 

Important Links:  👇👇
কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন Click Here
✅ Telegram Channel Join Now

🔥 আরো চাকরির আপডেট- Click Here