পিঠেতে বিদ্যের বোঝা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার দিন ফুরলো! বই-খাতা, ব্যাগ ছাড়াই এবার যাওয়া যাবে স্কুলে। শিক্ষকরা হাতে-কলমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করবেন। তাতে ছেলেমেয়েদের পিঠে ভারী বইয়ের বোঝা যেমন কমবে তেমনই কার্যকরী ও বুৎপত্তিগত শিক্ষার জ্ঞান অর্জন করতে পারবে তারা।
এমনই নির্দেশ দিল কেন্দ্রের CISCE Board. তারা এই নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়েছে, গাদা গাদা বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়াতে হবে। তবে কোনোদিনই যে স্কুলে ব্যাগ নিয়ে যেতে হবে না, বিষয়টা না। তাহলে আসল বিষয়টা কি তা ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।
প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জনের উপর জোর প্রদান
বই-খাতা ছাড়াই যে স্কুলে যাওয়া যাবে তা শুরুতেই আমরা বলেছি। তবে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে দু-চার কথা বলা যাক। কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, থিওরির বদলে প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জনে ছাত্রছাত্রীদের নজর দিতে হবে।
কারণ ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের বিকল্প আর কিছু হয় না বলে মনে করছেন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রনেতারা। তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য, এখন সময় পাল্টেছে। পড়াশোনার শেষে ছাত্রছাত্রীরা যাতে অবশ্যই চাকরি পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। আর তা করার জন্য হাতে-কলমে জ্ঞান থাকাটা খুব জরুরি। আর সেটা স্কুল জীবন থেকেই শুরু করতে হবে বলে জানানো হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতিতে।
বছরে ১০ দিন ব্যাগ ছাড়াই যেতে হবে স্কুল
সেই জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করেই এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতকে মান্যতা দিয়ে CISCE Board এই বইখাতা ছাড়া স্কুলে আসার বিষয়টি চালু করেছে। তবে সারা বছর বইখাতা ছাড়া পড়াশোনা হবে ভাবলে ভুল করবেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে, বছরে ১০ টা দিন বা ৬০ ঘণ্টা ছাত্র-ছাত্রীরা বইখাতা ছাড়া স্কুলে আসবে। ওই দিনগুলোই তাদের হাতে কলমে নানান কিছু শেখাতে হবে।
ব্যাগ ছাড়া স্কুলে গিয়ে যা করবে ছাত্রছাত্রীরা
এই নির্দেশিকায় শিক্ষকদের করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যে দিনগুলো বইখাতা ছাড়া ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে সেই দিনগুলিতে হাতে-কলমে কোনও কিছু শেখানো বা ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক জ্ঞান দিতে হবে শিক্ষকদের। হতে পারে পড়ুয়াদের নিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষামূলক ভ্রমণে বের হলেন বা স্কুলেই পদার্থবিদ্যা অথবা কেমিস্ট্রির কোনও মডেল হাতে-কলমে একেবারে করে দেখালেন।
অথবা নির্দিষ্ট কোনও বিষয় নিয়ে এই সময় ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের অধীনে সমীক্ষা করতে পারে, তারা প্রজেক্ট তৈরি করতে পারে অথবা বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে কোনও পেপার তৈরি করতে পারে এই সময়কালে।
CISCE Board তাদের নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়েছে, ছেলেমেয়েদের পিঠে ভারী বইয়ের ব্যাগের বোঝা যেমন কমাতে হবে, তেমনই সেই সময়টাকে তাদের বইয়ের পড়া বিষয়গুলির রূপায়ণ সম্বন্ধে সচেতন করে তুলতে হবে। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা। তাঁদের মতে বছরে অন্তত ১০ টা দিন হলেও ছেলেমেয়েগুলোর পিঠে ভারী ভারী বইয়ের বোঝা থাকবে না। তাতে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবে সেই সঙ্গে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভের ফলে তারা ভবিষ্যতের জন্য আরও সমৃদ্ধ হবে।
গুরুত্বপূর্ণ লিংক: 👇👇👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপ | Join Now |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
- WBSSC-র তরফ থেকে নিয়োগের আপডেট
- অবিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জন্য নৌবাহিনীতে চাকরি
- তৃণমূল আমলের ২২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বিপদের মুখে