একবার টেট পাশ করতে পারলে টেট পাশ সার্টিফিকেট (TET Pass Certificate) দেখিয়ে কতবার প্রাইমারি শিক্ষক (Primary Teacher) হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে জেগে উঠেছে। কেউ বলছে চার বছর টেট সার্টিফিকেটের ভ্যালিডিটি থাকবে। কেউ আবার বলছে একবার টেট পাশ করতে পারলেই কেল্লাফতে, সারা জীবন ঐ সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রাইমারি শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই টেট সার্টিফিকেট সম্পর্কেই আচলনা করবো। সেইসাথে টেট পাশ সার্টিফিকেট সম্পর্কে প্রাইমারি পর্ষদ ঠিক কি জানিয়েছি সেটাও জেনে নেবো। তো চলুন আর দেরি না করে এবার আসল টপিক নিয়ে শুরু করা যাক।
WB Primary TET Pass Certificate Validity
পরীক্ষা দিয়ে একবার টেট পাস করলেই হল। তারপর ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত (প্রাথমিকের চাকরির ক্ষেত্রে জেনারেল ক্যান্ডিডেটদের বর্তমান বয়সসীমা) যতবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে, ততবারই আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থী। গত ২৬ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের এই ঘোষণার ফলে যথেষ্ট আলোড়ন পড়ে গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
পর্ষদ ঠিক কী জানিয়েছে?
এর আগে একবার টেট পাস করলে সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে কতবার চাকরির আবেদন করা যাবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম ছিল না। ফলে তা নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেই বিতর্ক নিরসনের লক্ষ্যেই এবার সুনির্দিষ্ট নিয়ম করার পথে হাঁটল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা আয়োজিত হতে চলেছে। তার আগে একগুচ্ছ নির্দেশিকা নিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই গাইডলাইনেই স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, একবার টেট পাস করলে নির্দিষ্ট বয়সসীমা পর্যন্ত যখনই শিক্ষক নিয়োগ হবে, তখনই ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে।
এর ফলে চাকরিপ্রার্থীদের যথেষ্ট সুবিধা হল। কারণ প্রথমে একবার আবেদন করেও তাঁরা চাকরি না পেলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ওই একই সার্টিফিকেটের সাহায্যে এরপরও আরও বেশ কয়েকবার তাঁরা চাকরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে।
টেটের নম্বর বাড়ানোর জন্য পরীক্ষা
এছাড়াও পর্ষদ জানিয়েছে কোনও টেট পাস চাকরিপ্রার্থী চাইলে পরবর্তীকালেও ইচ্ছেমতো টেট পরীক্ষায় বসে নিজের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও নির্ধারিত ৪০ বছরের বয়সসীমা মানতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই নিয়মটিও চাকরিপ্রার্থীদের সাহায্য করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান। কারণ পরবর্তীতে টেট পরীক্ষায় বসে নিজের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে নিতে পারলে চাকরি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বেশ কিছুটা এগিয়ে যেতে পারবেন।
এতে লাভ হবে কতটা?
একবার টেট পাস করার পর সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে নির্দিষ্ট বয়সসীমা পর্যন্ত যতবার খুশি চাকরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারার এই সুবিধেতে আদৌ চাকরিপ্রার্থীদের কতটা লাভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ একের পর এক মামলা মোকদ্দমা, দুর্নীতি, বেআইনি নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্র উত্তপ্ত হয়ে আছে। তার ওপর শূন্য পদের প্রকৃত সংখ্যা যত হওয়ার কথা তার থেকে অনেক কম পদে নিয়োগ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই পরিস্থিতিতে একবার চাকরির জন্য আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থী পরবর্তীতেও আবেদন করে সফল হবেন তার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম।
কারণ, যত দিন যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছেলেমেয়েরা আরও বেশি বেশি করে নম্বর পাচ্ছে। এই অবস্থায় আগে পাশ করা একজন চাকরিপ্রার্থীর বেশ কয়েক বছর পর পাস করে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নম্বরের দৌড়ে সামিল হয়ে শেষ পর্যন্ত চাকরি পাওয়াটা বেশ কঠিন। চাকরিপ্রার্থীদের মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মোট ৫০ নম্বরের যে বিভাজন আছে, তাতে আগে পাশ করাদের পরবর্তীতে সুযোগ পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
✅ কাজকর্ম Whatsapp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 টেট পরীক্ষার জন্য চাকরিরত শিক্ষকরাও আবেদন করছে
🎯 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি
🎯 প্রাইমারি টেটে জেনারেলদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩,১৪১ টি শূন্যপদ