পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। একটা ঘটনার রেশ মেলাতে না মেলাতেই তাদের নতুন কর্মকাণ্ড ঘিরে আলোচনা শুরু হয়ে যাচ্ছে। তবে শেষ একটি নোটিফিকেশন জারি করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন পর্ষদ। তার ফলে ১১ ডিসেম্বর হতে চলা টেট পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও অনেকটা বেড়ে গেল।
কি কারনে টেটে প্রতিযোগীতা বাড়ল?
গত ২৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ নিয়ে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে- ফিজিক্যাল এডুকেশন, অর্থাৎ শরীর শিক্ষায় ডিগ্রিপ্রাপ্তরাও এবারের টেট পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করতে এবং পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকের বেসিক ট্রেনিং ডিগ্রি ডিএলএড-এর পাশাপাশি এবার বিএড পাশরাও পরীক্ষায় বসতে পারছেন। পর্ষদের এই অনুমতি ঘিরে একপ্রস্থ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডিএলএড পাশরা এই নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। এবার ফিজিক্যাল এডুকেশনের ছাত্র-ছাত্রীদেরও পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শরীর শিক্ষায় সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি যেকোনও একটা থাকলেই টেট পরীক্ষায় বসা যাবে। এর ফলে আরও কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী এবারের টেট পরীক্ষায় বসবেন বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। এমনিতেই এবার ডিএলএড ও বিএড পাঠরত পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
ঘটনা হল ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী টেটের ফর্ম ফিলাপ করে ফেলেছেন। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাটা ছাপিয়ে গিয়েছে। আরও পাঁচদিন, মানে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টেটের ফর্ম ফিলাপ চলবে।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত টেট পরীক্ষায় বসার আবেদনকারীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ছুঁতে পারে! সেক্ষেত্রে এক নজির তৈরি হবে। এরজন্য পর্ষদকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও বেশ কিছু বাড়াতে হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ফিজিক্যাল এডুকেশনের ছাত্র-ছাত্রীরাও টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যে অনেকটাই বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এতো বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিলেও প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শূন্য পদের সংখ্যা না বাড়ালে বিশেষ লাভ হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
তাঁদের মতে, কেন্দ্রের NCTE এর নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি ৩৫ জন পড়ুয়া পিছু একজন করে শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে তা নেই। সরকার এই নির্দেশ লাগু করলে লক্ষাধিক শূন্য পদ তৈরি হবে বলে তাঁদের মত। সেক্ষেত্রে টেট পাশ বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
✅ কাজকর্ম Whatsapp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
✅ Telegram Channel: Click Here
✅ অফিসিয়াল নোটিশটি দেখুন: Click Here
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট 👇👇
🎯 PW ইন্টার্নশিপে বাড়িতে থেকেই 30 হাজার টাকা ইনকামের সুযোগ
🎯 প্রাইমারি টেট বিষয় ভিত্তিক মডেল প্রশ্নপত্র- পর্ষদ থেকে প্রকাশিত
🎯 মাধ্যমিক পাশে প্রচুর শূণ্যপদে গোয়েন্দা দপ্তরে গ্রুপ-C কর্মী নিয়োগ