অনেকেই মনে করছেন রাজ্যে যে ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ হবে তার জন্য ২০২২ এর টেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আসলে কিন্তু এমনটা আদৌ হবে না। যদি এমনটা নাহয় তাহলে এই ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক হওয়ার জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন? এই বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত জানাবো। এর মাধ্যমে অনেকের ভুল ধারণা ভাঙবে।
গত ৩ নভেম্বর এবারের টেট পরীক্ষা জন্য আবেদন করার অনলাইন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ৫ এবং ৬ নভেম্বর এই দুই দিন টেটের অনলাইন আবেদনে যদি কারো কোন ভুল থাকে তাহলে তা সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই এই আবেদনের কারেকশন করতে পারবে আবেদনকারীরা। আচ্ছা এবার আসি আমাদের মূল টপিকে।
আগামী ১১ ডিসেম্বর যে রাজ্যজুড়ে টেট পরীক্ষা হতে চলেছে তাতে বসার জন্য শেষ পর্যন্ত প্রায় লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেইসাথে একগাদা বিতর্ক সাথে নিয়েই চলছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এককথায়, টেট পরীক্ষা (TET Exam) ও প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া পাশাপাশি চালাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর ফলে টেট পাশ এবং টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়।
বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের এবং সাধারণ মানুষের মনে এই সময়ে দুটি প্রশ্ন সবথেকে বেশি মাথায় আসছে, আমাদেরকেও অনেকে এই প্রশ্নগুলি করছে-
1) প্রাইমারির ১১ হাজার শূন্যপদে ২০২২ এর টেট প্রার্থীরা চাকরি পাবে?
2) টেট পাশ করলেই কি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া যাবে?
আজকের এই আর্টিকেলে এক নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে। দুই নম্বর প্রশ্নের উত্তর আমরা অন্য একটি আর্টিকেলে প্রকাশ করেছি। এখানে ক্লিক করেই আপনি ‘টেট পরীক্ষা পাশ করলেই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া যাবে?’ কিনা আশা করছি তা ভালোভাবে জেনে যাবেন।
২০২২ এর টেট পরীক্ষার্থীরা কি চলতি প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন?
1/4 গত ৩ নভেম্বর রাত ১২ টায় এবারের টেট পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করার সময়সীমা শেষ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে ২০২২ এর টেট পরীক্ষা আয়োজিত হবে। এর আগে যারা টেট পাস করে আছেন, তাঁরা এবং নতুন পরীক্ষার্থী সকলেই এই টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
2/4 কিন্তু এই টেট পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কেউ চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ যে ১১ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাতে ২০২২ এর টেট পরীক্ষার ফলাফল বিবেচিত হবে না।
3/4 প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৭ এর টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরাই কেবলমাত্র এবারের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এবার ধরা যাক ২০১৪ বা ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ কেউ নিজের প্রাপ্ত নম্বর বাড়ানোর জন্য আবার ২০২২ এর টেট পরীক্ষায় বসলেন। তিনি কি এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন?
4/4 হ্যাঁ, পারবেন। সেক্ষেত্রে ২০১৪ বা ২০১৭ সালের টেট পাশ সার্টিফিকেট দেখিয়ে তাঁকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। কিন্তু বেশি নম্বর পেলেও ২০২২ এর টেট পরীক্ষার মার্কশিট এক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না। এককথায় যারা এইবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা দেবে তাদের রেজালাট বেরোতে বেরোতে চলতি ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ। তাদেরকে পরবর্তী প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় থাকতে হবে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম Whatsapp গ্রুপে জয়েন হোন: Click Here
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 শেষ পর্যন্ত টেট পরীক্ষার জন্য রেকর্ড সংখ্যায় আবেদন জমা পড়ল!
🎯 এই ৮ টি নতুন নিয়ম না জেনে টেট পরীক্ষা দিতে গেলেই বিপদ!
🎯 WB SSC এর এই ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকলেই চাকরি