আজকের ভারতবর্ষের চাকরির বাজার শুধু দেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে না। লন্ডন বা নিউইয়র্কে যদি টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে তার প্রভাব সরাসরি ভারতের বাজারে এসে পড়ে। আসলে বিশ্বায়নের যুগে সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা চরম সত্যি। তাই ভালোভাবে পড়াশোনা করে, প্রচুর ডিগ্রি পেয়েও অনেকে মনমতো চাকরি পাচ্ছেন না।
কেউ কেউ তো মাস্টার ডিগ্রি করেও চাকরির অভাবে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে কতদিন? জীবনটা তো অনেক লম্বা। নিজেকে বাঁচতে হবে, পরিবারকে দেখতে হবে। তাই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বসে থাকলে চলবে না, এমন পরিস্থিতিতে পড়া মানুষদের জন্য আদর্শ হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিশেষ পরামর্শ।
চারিদিকে যা নিয়ে মজা হচ্ছে তার আদৌ কোনও গুরুত্ব আছে?
খড়্গপুরে উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর আগে বেকার ছেলেমেয়েদের চা-বিস্কুট, ঘুগনি-তেলেভাজার ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি পাড়ায় পাড়ায় হাসিঠাট্টার ঢেউ উঠেছে।
হয়তো রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সব অংশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য যে সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তার কার্যকারিতা অপরিসীম।
আগেই বলেছি, আপনি যোগ্য কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না, তার কারণ হতে পারে বিশ্বের অর্থনীতি ও চাকরির বাজার সার্বিকভাবে খারাপ। হতে পারে এসএসসি দুর্নীতির মতো কোনও কারণে আপনি চাকরি থেকে বঞ্চিত। কারণ যাই হোক না কেন রোজগার না করতে পারলে হতাশা আসা স্বাভাবিক।
বিশেষত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ না পেলে তার মনবেদনা অপরিসীম। কিন্তু কতদিন এই হতাশগ্রস্ত অবস্থায় কাটাবেন? আপনার পরিবার আছে। তাই বুদ্ধি করে সম্মানের সঙ্গে কিছু একটা করতে হবে। কারণ আপনি শিক্ষিত মানুষ, আপনার দ্বারা চুরি-চামারি হবে না। এইরকম অবস্থায় যদি কেউ পড়েন তাঁর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা-বিস্কুট, ঘুগনি-তেলেভাজার ব্যবসা শুরুর পরামর্শ কিন্তু মন্দ হবে না।
সবচেয়ে বড় কথা মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর হওয়ার জন্য যে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছেন তার জন্য পুঁজি খুবই অল্প লাগে। দরিদ্র কোনও মানুষের পক্ষেও এই অর্থ জোগাড় করা সম্ভব। নিজের না থাকলে প্রতিবেশীদের সামান্য সাহায্য নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যেতেই পারেন।
তাই কী করবেন, পরিস্থিতি বুঝে সেই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। এ বিষয়ে উল্লেখ্য, একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক পদে ৮৯ হাজার নিয়োগ করবে। কিন্তু কবে হবে তা আগামী সময়েই জানা যাবে।
👍 নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 রাজ্যের ইউনিভার্সিটিতে গেস্ট টিচার নিয়োগ
🎯 রাজ্যের উপজাতী উন্নয়ন দপ্তরে গ্রুপ-ডি নিয়োগ