কলকাতা বা কৃষ্ণনগর, মাঝরাতে ট্যাক্সিতে করে যেতে যেতে কোনও বিপদে পড়লেও আর চিন্তা নেই। শুধু একটা পদক্ষেপ, সঙ্গে সঙ্গে আপনার চলন্ত ট্যাক্সির পথ রোধ করে দাঁড়াবে পুলিশের ভ্যান! এগিয়ে আসবে সাহায্যের হাত। গণপরিবহনের যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ দফতর।
যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত গাড়িতে (বাস, অটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব) এবার থেকে থাকবে প্যানিক বাটন বা সুইচ (Panic Button), যা সরাসরি পুলিশের সদর দফতরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কোনও বিপদে পড়লে ওই প্যানিক বাটনে চাপ দিলেই হবে, জিপিএস লোকেশনের মাধ্যমে পুলিশ জেনে যাবে আপনার গাড়িটা এই মুহূর্তে ঠিক কোন এলাকার কোন জায়গায় আছে।
আবার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বা হঠাৎ মাঝ রাস্তায় খারাপ হয়ে গেলে চালকও ওই প্যানিক বাটন ব্যবহার করে পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। এর জন্য গাড়িতে বসছে ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (VLTD)।
ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস কী?
অতীতের নানান ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং ডিভাইস বাণিজ্যিক গণপরিবহনের গাড়িগুলিতে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (WB Govt.)। সোমবার, অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি আলিপুরের মাল্টিলেভেল পার্কিং কমপ্লেক্স থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান কলকাতার রাস্তায় চলা সমস্ত বাস, ট্যাক্সি, অটো, অ্যাপ ক্যাবে থাকা প্যানিক বাটনের সরাসরি সংযোগ থাকবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে।
দুটি চিপ বা সিম কার্ডের মাধ্যমে ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং ডিভাইস সিস্টেম ঠিক কাজ করবে। পুরোটাই জিপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই জন্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক গাড়িতে এই ডিভাইসটি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে বলা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি বাণিজ্যিক গণপরিবহনের গাড়িতে এই ডিভাইস বসিয়ে ফেলার কাজ সেরে ফেলতে হবে। তবে বাজারে এই ডিভাইসের যোগান কম থাকায় পরিবহণ দফতর তাদের আগের নির্দেশিকা বদলে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে জানানো হয়, আগামী ২০২৩ এর ৩১ মার্চের মধ্যে এই ট্র্যাকিং ডিভাইস প্রত্যেক গাড়িতে বসিয়ে ফেলার কাজ শেষ করতে হবে। ১ এপ্রিল থেকে এই ট্রাকিং ডিভাইস না থাকলে কোনও গাড়িকে আর রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না।
এই ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে যে কোনও বাস ট্যাক্সি অটোর গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালাতে পারবেন পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। প্রয়োজন মত তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যা একটা ভাল দিক। সেই সঙ্গে যাত্রীরাও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় সূচি নিয়ে পরিবহণ সংগঠনগুলির মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কারণ রাজ্যও নির্দেশ দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস গাড়িতে বসানো না হলে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 শীঘ্র শুরু হচ্ছে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
🎯 ২০২৩ সালে কর্মী নিয়োগ নিয়ে যা জানাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা