দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিলেন রাজ্যের আরও এক বিচারপতি। আর সেটাও এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সূত্র ধরে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি মামলার শুনানির সময় সিবিআই রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরই তিনি বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন, আমিও সেই লড়াইয়ে যোগ দিলাম।”
ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?
বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এসএসসির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে চারটি পৃথক পৃথক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। তা থেকেই জানা গিয়েছিল কমপক্ষে ৮,১৬৩ জনকে পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপি, এসএসসির সার্ভারে কারচুপি এবং মেধা তালিকায় কারচুপির মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আই অ্যাম শকড’।
বৃহস্পতিবার এই এসএসসিরই গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই শুনানি চলাকালীন দীর্ঘক্ষণ এজলাসে বসেই সিবিআইয়ের রিপোর্ট ভালো করে খুঁটিয়ে দেখেন বিচারপতি। তাতে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে তার ব্যাখ্যা এবং এইভাবে অন্যায় নিয়োগের সংখ্যা দেখে কিছুক্ষণ চুপ করে যান বিচারপতি বসু।
এরপরই তিনি বলেন, “এই যে দুর্নীতি সিবিআইয়ের রিপোর্টে উঠে এসেছে তা হিমশৈলের চুড়া মাত্র। আসল অংশ এখনও জলের তলায় রয়ে গিয়েছে। এই দুর্নীতিকে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা যারা এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে শাস্তি দিতে হবে।”
এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কড়া মন্তব্য করেন। বলেন, “শিক্ষক হল সমাজ গড়ার কারিগর। যারা এইভাবে চাকরি পেয়েছেন তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কী শিক্ষা দেবে? ছাত্রছাত্রীরাই একসময় এই শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।”
এরপরই বেআইনি নিয়োগ প্রাপ্তদের শাস্তির ধরণ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বিচারপতি জানান, এইভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলের চাকরি বাতিল করতে হবে। দরকারে পুরো প্যানেল বাতিল ঘোষণা করা উচিৎ বলেও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেন। এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে কোনরকম ঢিলেমি দেওয়া চলবে না বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শিক্ষক ও সেই বিভাগেরই অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ভয়ঙ্কর সব পথ অনুসরণ করা হয়েছে এবং এইভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে বিচারপতিরাও স্থির থাকতে পারছেন না। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেলেও অযোগ্যদের নিয়োগের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখাতে রাজি নন বিচারকরা। বরং নিয়ম অনুযায়ী তাদের কড়া শাস্তি দেওয়ার পথেই এগিয়ে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুরা।
👍চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 অষ্টম শ্রেনি পাশে ভারতের ডাক বিভাগে চাকরি
🎯 রাজ্যের স্কুলে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি
🎯 ৭ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়তে হবে! বিপদ বাড়ল